আজিজুল ইসলাম বারী, লালমনিরহাট প্রতিনিধিঃ আগামী ২৯ ডিসেম্বর লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার সিন্দুর্ণা ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে উপ-নির্বাচন। ওই নির্বাচনে ৩ জন প্রার্থী অংশ নিয়েছেন। ইতোমধ্যে আওয়ামীলীগ সমর্থিত প্রার্থী নুরল আমিনের বিরুদ্ধে সাংবাদিক ও সংখ্যালঘুসহ প্রতিপক্ষ প্রার্থী ও তার লোকজনকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় স্থানীয় থানায় একাধিক অভিযোগ হলেও পুলিশ কোনো ব্যবস্থা গ্রহন করেনি।

জানা গেছে, সম্প্রতি সময়ে দুই দফা সংখ্যালঘু পরিবারের উপর হামলাসহ তাদের নানা ভাবে হুমকির অভিযোগ উঠেছে আওয়ামীলীগ সমর্থিত প্রার্থী নুরল আমিনের বিরুদ্ধে। এ ছাড়া দফায় দফায় হামলার শিকার হয় স্বতন্ত্র প্রার্থী আরিফুল ইসলাম আরিফসহ তার সমর্থিত প্রায় ৪০ জন লোক। এসব ঘটনার সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে হামলার শিকার হয় হযরত আলী নামে স্থানীয় এক সাংবাদিকও। এসব ঘটনায় স্থানীয় থানায় একাধিক অভিযোগ হলেও কোনো ব্যবস্থা গ্রহন করেনি পুলিশ। উল্টো কথিত একটি অভিযোগে রোববার স্বতন্ত্র প্রার্থী আরিফুল ইসলাম আরিফের চাচা আওয়ামীলীগ নেতা মোশারফ হোসেনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

অভিযোগ উঠেছে, পুলিশের উপস্থিতিতে আওয়ামীলীগ সমর্থিত প্রার্থী ও তার লোকজন ফিল্মি স্টাইলে নির্বাচনী প্রচারণা চালালেও প্রচারণায় বাঁধা পাচ্ছে স্বতন্ত্র প্রার্থী আরিফুল ইসলাম আরিফ। এ ছাড়া বহিরাগত দুর্বৃত্তরা ওই এলাকায় আসতে শুরু করেছেন। ফলে সাধারণ ভোটারদের মাঝে আতংক বিরাজ করছে।

তবে অপর একটি সুত্র বলছে, ওই ইউনিয়নের ৯ টি ভোট কেন্দ্রের মধ্যে ১,২,৩ ও ৮ নং কেন্দ্র ঝুকিপুর্ণ। এসব কেন্দ্রে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতি হতে পারে।

স্বতন্ত্র প্রার্থী আরিফুল ইসলাম আরিফ বলেন, প্রথম থেকেই আমি নির্বাচনী প্রচারণায় বাঁধা পাচ্ছি। আমার সমর্থক বিশেষ করে সংখ্যালঘু পরিবার গুলোকে হুমকি দেয়া হচ্ছে। নৌকায় ভোট না দিলে তাদের দেশ ত্যাগের হুমকি পর্যন্ত দেয়া হচ্ছে। এ ঘটনা একাধিক অভিযোগ করলেও কোনো ব্যবস্থাই নিচ্ছে না পুলিশ। উল্টো কথিত অভিযোগে আমার লোকজনকে গ্রেফতার ও হয়রানী করা হচ্ছে।

তবে হামলা ও নির্বাচনী প্রচারণায় বাঁধা দেয়ার অভিযোগ অস্বীকার করে আওয়ামীলীগ সমর্থিত প্রার্থী নুরল আমিন বলেন, নৌকার বিজয় বুঝতে পেয়ে প্রতিপক্ষ প্রার্থী ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের চেষ্টা করছেন।

হাতীবান্ধা থানার ওসি শাহা আলম জানান, দুই পক্ষ পাল্টা-পাল্টি যে অভিযোগ গুলো করেছেন তা তদন্ত করা হচ্ছে। অবশ্যই আইনী ব্যবস্থা নেয়া হবে।